স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিঙ্গা এলাকায় বিশাল পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্ঠা চালাচ্ছেন একটি প্রভাবশালী মহল। শতবছর ধরে জনস্বার্থে ব্যবহার হওয়া উন্মুক্ত পুকুরটি হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ভরাট করায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এনিয়ে এলাকাবাসী চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগও দায়ের করেছেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিঙ্গা মুন্সিপাড়ায় ১.১৬ একর জায়গায় দানবীর জিন্নত আলী চৌধুরী কর্তৃক খনন করা পুকুরটি প্রায় শতবছর ধরে চার মহল্লার মানুষ ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া অগ্নিকান্ড নির্বাপণসহ বিভিন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় এ পুকুরের পানি। জনস্বার্থে তিনপাশে তিনটি সিড়িঁও নির্মাণ করে চকরিয়া পৌরসভা। কিন্তু জনস্বার্থে উন্মুক্ত ব্যবহার হয়ে আসা পুকুরটি চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিবের নেতৃত্বে ভরাট কাজ চলছে।
সচেতনমহল জানান, ইতোপূর্বে পুকুরসহ সকল প্রকার জলাশয় ভরাট করা আইনগত অপরাধ হিসেবে নিদের্শনা দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা অমান্য করে কাউন্সিলর মুজিবুল হক ঐতিহ্যবাহি পুকুরটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে সমাজকর্মী আনোয়ারুল মহসিন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মুজিবুল হক জানান, পুকুরটি ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। কিছুদিন পূর্বে ভরাট করেছিলাম। তবে এখন আপাতত বন্ধ রয়েছে। আগামী পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সমালোচনা করছেন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, পুকুর সহ সকল প্রকার জলদ্বার ভরাট করা বেআইনী।
তিনি বলেন, নামার চিরিঙ্গার পুকুরটি ভরাটের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করতে গেলেই ভরাটকাজে লিপ্ত লোকজন উধাও হয়ে যায়। ফলে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। পাওয়া গেলেও শ্রমিকদের পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের আটক করে সাজা দিয়ে লাভ নেই, মুলহোতাকে আটক করতে পারলেই ভাল হয়। ওই পুকুরটি ভরাট বিষয়ে খেয়াল রেখে খবর পেলেই মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাবেন বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: